ঢাকা: সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে রাজধানীর বনশ্রী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের বিরুদ্ধে জুনিয়র ওয়ান শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ফি ধার্য করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রকাশ্য ফি’র চেয়ে আরও অনেক বেশি খরচ পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা।
প্রতিষ্ঠানের একজন স্টাফ বাংলানিজকে জানান, জানুয়ারি মাসের বেতনসহ বাংলা মাধ্যমে ১৮ হাজার ৩৬০ টাকা ও ইংরেজি মাধ্যমে ২১ হাজার ৮৬০ টাকা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে ভর্তি ফরমের মূল্য ২০০ টাকা। গত বছর আরও বেশি ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
এ স্কুলের মাসিক বেতনও অতিরিক্ত, বাংলা মাধ্যমে ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
২০১৬ শিক্ষাবর্ষে জুনিয়র ওয়ান (বালক/বালিকা) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে এ বিশাল অংকের হিসাব ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ।
সন্তানকে ভর্তি করাতে যাওয়া ওই এলাকার একাধিক অভিভাবক বাংলানিউজের কাছে উচ্চ ভর্তি ফি ধার্যের বিষয়টি জানান।
নন-এমপিও ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের বলছে, সরকার নন-এমপিও স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারি হলে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে, এমন আশ্বাস দিয়ে বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি ফরমের দাম সরকার নির্ধারিত ২০০ টাকাই ধরা হলেও ভর্তি ফি নিয়ে অভিযোগ অভিভাবকদের মধ্যে।
আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে এমপিও বর্হিভুত প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। উন্নয়ন খাতে ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ হিসেবে নীতিমালার ফি’র চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের পরিচালক শেখ ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা, সেশন ফি ৭ হাজার টাকা। আর ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি ফি ৮ হাজার টাকা, সেশন ফি ১০ হাজার টাকা।
সারা বছর একজন শিক্ষার্থীকে বাংলা মাধ্যমে ২৪ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে ৪৭ হাজার টাকার মতো খরচ করতে হবে বলে জানান পরিচালক শেখ ফরিদ আহমেদ।
খরচ এতো বেশি কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার তো ভবন ভাড়া দেয় না। শিক্ষকের বেতনও আমাদের দিতে হয়। একজন শিক্ষকের বেতন ১৮ হাজার টাকার ওপরে জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য খরচ বেশি।
আগামী ২৭ নভেম্বর লটারি হবে এবং ১ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।
ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের অন্য একাধিক শাখায়ও শিক্ষার্থী ভর্তির নামে বাণিজ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এমআইএইচ/আইএ/এএসআর