ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘শিক্ষায় উন্নয়নের বেদনায়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
‘শিক্ষায় উন্নয়নের বেদনায়’ ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গাছতলায় ক্লাস নেওয়ার অর্থ হচ্ছে শিক্ষায় উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষায় এখন উন্নয়নের বেদনা বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।


 
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলে, মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
মন্ত্রী বলেন, গাছতলায় ক্লাস হচ্ছে এমন ছবি দেখে আমি খুশি। ছেলেমেয়েরা আগে স্কুলেই আসত না। এখন এত বেশি স্কুলে আসছে জায়গা দিতে পারছি না।
 
এটা আমাদের উন্নতি আর উন্নয়নের সমস্যা। বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতে এত বেশি উন্নতি আর উন্নয়ন করেছে এটি তারই বেদনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করা। যাতে তারা আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
 
তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি দলমত নির্বিশেষে সবাই মেনে নিয়েছে। এ নীতি বাস্তবায়ন খুবই কঠিন কাজ। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গতানুগতি শিক্ষা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক যুগের নির্মাতা হিসেবে তৈরি করা যাবে না। সেজন্য আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল বা মৌলিক পরিবর্তন।
 
বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি চাই। জ্ঞান আর প্রযুক্তি দিয়ে মাথা ভরে দিলে হবে না। সে সঙ্গে প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করা।
 
শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৯৯ শতাংশ ছেলেমেয়েকে স্কুলে নিয়ে এসেছি। খুবই কঠিন কাজ তাদের ধরে রাখা।
 
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছেলেমেয়ের সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিকে মেয়ে ৫১ ভাগ ও ছেলে ৪৯ ভাগ। মাধ্যমিকে মেয়ে ৫৩ ভাগ ও ছেলে ৪৭ ভাগ।
 
আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েরা বেশি হয়ে যাবে। উচ্চশিক্ষায় ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সমতা অর্জন করতে পারবো বলে জানান তিনি।
 
সরকার ক্ষমতায় আসার পর মোট শিক্ষার্থীর ১ শতাংশের কম লেখাপড়া করতো। এখন ১০ শতাংশ করে। ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। উচ্চশিক্ষা আগের মতো চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। স্যার বক্তব্য দিল। সাটিফিকেট নিয়ে চলে আসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান চর্চা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র।
 
অনলাইনে ভর্তি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি অনলাইনে করা হয়েছে। এখন থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে করা যাবে।
 
মোট ৩৩৫ টি সরকারি স্কুল রয়েছে। এরমধ্যে জেলা পর্যায়ে ১৩৫ টি স্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো নিয়ে আসা হবে।
 
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন সভাপতিত্ব করেন।
 
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
আরইউ/ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।