ঢাকা: আমরা অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র হলেও আমাদের সন্তানরা শিক্ষার দিক থেকে মোটেও দরিদ্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, আজ দেশজুড়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস। বছরের প্রথম দিনে দেশের সব প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক স্কুল, দাখিল মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭শ’ ২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭শ’ ৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৬ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার ৮৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ১শ’ ৮৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৫টি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে পৌঁছে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে রাজধানীর ৬টি স্কুল (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও হাফেজ আবদুর রাজ্জাক দাখিল মাদরাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
ওই অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা নেচে-গেয়ে, আনন্দ-উল্লাস করে, লাল-সবুজ প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নেড়ে, বেলুন উড়িয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। মন্ত্রীর হাত থেকে নতুন বই পেয়ে তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জাতীয় শিক্ষাকার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও বাধার মধ্যেও বছরের প্রথম দিবসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত। একটি কুচক্রী মহল এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে বোর্ডের বই সংরক্ষণাগারের ভিতরে অগ্নিসংযোগ করে বই পুড়িয়ে দিয়েছিলো। পরে আমরা সেই ক্ষতি লাঘব করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করি। এবারের বই প্রস্তুতের কাজে দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন। এবার পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে মোট ৮৫ হাজার ৮শ’ ৯ মেট্রিকটন কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে। পরিবহণ কাজে ১৬ হাজার ৫শ’ ট্রাক ব্যবহৃত হয়েছে। মু্দ্রণ প্রতিষ্ঠান ছিলো ২শ’ ৮৯টি।
এবার প্রাথমিক স্তরের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকসমূহ এবং ট্রাই-আউট কার্যক্রমের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি বিদ্যালয়ের ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭শ’ ২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭শ’ ৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬/আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা
এনএইচএফ/এমজেএফ/