খুলনা: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একজন অধ্যাপকসহ তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষকরা হলেন- যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বি ও প্রভাষক মো. আসাদুজ্জামান। নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষক হলেন একই বিভাগের এসএম মাহবুবুর রহমান।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক পত্রে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও অব্যহতিপত্র প্রদান করা হয়। তিন শিক্ষকই তিন দিনের ‘নৈমিত্তিক ছুটির’ আবেদন যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. নওশের আলী মোড়লের দপ্তরে দাখিল করে বিভাগীয় প্রধানকে না জানিয়ে এবং নিয়ম অনুযায়ী ক্যাম্পাস ত্যাগের অনুমতি না নিয়ে ইচ্ছেমতো গত ২৯ ডিসেম্বর তারিখ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এছাড়া ছুটির আবেদনে ক্লাস সমন্বয়ের কথা থাকলেও তারা কেউই কোনো ক্লাস সমন্বয় করেননি। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হয়েও ক্লাস না করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ২য় সংবিধি এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি’৮৫ অনুযায়ী দাপ্তরিক শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধ বিধায় যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ (স্মারক নং-খুপ্রবি/১৪৫২), সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বি (স্মারক নং-খুপ্রবি/১৪৫৩) ও প্রভাষক মো. আসাদুজ্জামানকে (স্মারক নং-খুপ্রবি/১৪৫৪) কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এছাড়া এ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত একই বিভাগের প্রভাষক এসএম মাহবুবুর রহমানের (স্মারক নং-খুপ্রবি/১৪৫৫) নিয়োগ (নিয়োগ শর্তের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী) বাতিল করা হয়।
এর আগেও একই বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর থিসিস পেপার নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে ক্লাস থেকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক শাস্তি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৫
এমআরএম/জেডএস