ঢাকা: লাগাতার কর্মবিরতি থেকে সরে এসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন কি-না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভায়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাসে ফেডারেশনের সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
মঙ্গলবার সকালে মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. এএসএম মাকসুদ কামাল নিজ দপ্তরে বাংলানিউজকে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে। শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বলেছি ফেডারেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবির বিষয়গুলো এবং কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে তার আহ্বান বিকেল ৫টায় সাধারণ সভায় উত্থাপন করে সবার মতামত নিয়ে কর্মপন্থা ঠিক করবো। ’
সাধারণ সভার পর বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা- জানতে চাইলে অধ্যাপক কামাল বলেন, এটা আমার একার বলার এখতিয়ার নেই।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে পিঠা উৎসবের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাকসুদ কামালসহ আটজন শিক্ষক নেতা ছাড়াও সরকারের তিন সচিবও অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সন্তোষজনক সমাধান আসবে আশা করে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, তবে কতো দ্রুত আসবে তা বলা সম্ভব নয়।
দাবির বিষয়গুলো দীর্ঘায়িত হলে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বহন করতে হবে বলেও জানান মাকসুদ কামাল। ক্লাস শুরু হলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি অধ্যাপক পদের ‘অবনমন’ ঘটেছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
মর্যাদা ও বেতন প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব করেন শিক্ষকরা।
এছাড়া গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা প্রদানের জন্যও প্রস্তাব করা হয়।
শিক্ষকদের ৩ নম্বর গ্রেড থেকে ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীতের জন্য পদোন্নতির সোপান তৈরির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি ১ নম্বর গ্রেডে যেতে অন্যান্য দাবি দাওয়াও বিবেচনা করা হবে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস