ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবি শিক্ষক হত্যা

সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেল

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেল ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তদন্ত শেষে বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পন্ন করারও দাবি জানান তারা।



রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় রাবির শহীদুল্লাহ কলা ভবনে ইংরেজি বিভাগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ড. মাসউদ আখতার বলেন, অধ্যাপক সিদ্দিকী কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী ছিলেন না। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার বিচরণ ছিল। আমরা এ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধ্যাপক সিদ্দিকী ব্লগার ছিলেন না। কারণ তিনি যে ধরনের লেখালেখি করতেন তাতে কোনো ধর্মকে হেয় করার মতো বিষয় ছিল না। আর ব্লগিং করতে যে ধরনের কম্পিউটার জ্ঞান থাকা দরকার হয় তা অধ্যাপক সিদ্দিকীর ছিল না। তাই আইএসের এ হত্যার দায় স্বীকারের সঙ্গে বিষয়টি আমরা মেলাতে পারছি না।

খুনিদের শান্তির দাবিতে রোববার থেকে তিনদিন ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন এবং সপ্তাহব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

এছাড়াও অধ্যাপক সিদ্দিকী স্মরণে সোমবার বিভাগে শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক শেহনাজ ইয়াসমীন, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তারা জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অগ্রগতির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার রাজশাহীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ধর্মঘট পালন করা হবে। এছাড়া এদিন বেলা ১১টায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে নগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করবে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের চিহ্নিত করা, প্রতি ২৪ ঘণ্টা পরপর মামলার তদন্ত অগ্রগতি মিডিয়ার অবহিত করা, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যেকোনো ধারালো অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় ও বহনের ক্ষেত্রে নজরদারি জোরদার ও কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা বন্ধ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।