যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৬ (এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ১১ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়।
এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্রদের ও বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের লাঠিপেটায় ছাত্রলীগের অন্তত ২০ কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন আগে যবিপ্রবির ৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই ৫ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন।
দুপুরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ২০ জন আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮/২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
যবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক হায়াতুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২৭ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ছেলেদের সন্ধ্যা ৬টা ও মেয়েদের বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সাত্তার তার কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন। খবর গেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে উপাচার্যকে মুক্ত করে।
লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি জানান আটকদের এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
এসআর