ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের জন্য উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের (এটিও) আবেদন থেকে নিয়োগ দেবে সরকার।
বিসিএস নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদের মতো প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের প্রায় ছয় হাজার পদে নিয়োগ সম্পন্নের জন্য মন্ত্রণালয় সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল ৫ হাজার ৭৯৭ পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পিএসসিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখার এক কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, একটি সভায় এটিও’র আবেদন থেকে প্রার্থী নিয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এটিও’র প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন পড়েছিলো প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৮টি। ১৪৪টি পদে নিয়োগের জন্য সরাসরি ৫০ শতাংশ এবং বাকি পদ বিভাগীয় প্রার্থীর মাধ্যমে নিয়োগের কথা ছিলো বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রাথমিকের সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের (বিভাগীয় প্রার্থী) মধ্য থেকে ৫০ শতাংশ পদ পূরণ না হলে সাধারণ কোটা থেকে নেওয়ার কথা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ১৬ হাজার ৬৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে।
এটিও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যারা পদ স্বল্পতার কারণে নিয়োগ পাবেন না, তাদের মধ্য থেকে বিসিএস নন-ক্যাডারের মতো প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।
প্রধান শিক্ষকদের পদ যেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণির, সেহেতু এটিও পদ না পাওয়া প্রার্থীরা সম্মত থাকলে তাদের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং পিএসসির মাধ্যমে সরাসরি ও বিভাগীয় প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে পিএসির মাধ্যমে দ্রুত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, পদোন্নতির জন্য গ্রেডেশন করা হচ্ছে। তবে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনের কারণে বিষয়টি ঝুলে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি