ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সংবর্ধনা ও বৃত্তি দেওয়া হয়।
এবার পিইসি’র ২৫ জন এবং জেএসসি’র ১৫ জন মিলিয়ে মোট ৪০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়।
ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও ডিআরইউ’র যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করেন আয়োজনের সদস্য সচিব ও ডিআরইউ’র কল্যাণ সম্পাদক জিলানী মিলটন।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামাল, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, আপ্যায়ন সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা মনি, ওসমান গনি বাবুল, শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, মো. মহসিন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ডিআরইউ’র সদস্য সন্তানদের মধ্যে পিইসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীরা হলো- জেনিয়া জাফরিন চৌধুরী, আবদুল্লাহ্ ফাহাদ, নাজিব আব্দুল্লাহ, তাসমিয়্যাহ তাবাসসুম, সাহাফ মাহমুদ, রিফা মারইয়াম, উম্মে রোদাবা তুশি (উপমা), মো. আওসাফ রহমান, কায়সারী বিন্তে কামাল টুনটুন, মায়িশা উসলাম, সাইফ সাদমান সৃজন, সুপ্রভা সুভা, নাশিতা মালিক প্রিয়ন্তী, রওনক হাসান হিমেল, সাদিয়া ইসলাম রাকা, কাফরিনা সেঁজতি কার্জন, সাকীফ বায়েজিদ আহসান, আলিফ এনাম, প্রিথুলা স্নেহা, আনতারা আনবার, রিমঝিম সিমরিন খান, তারান্নুম ইলিয়াস খান, অর্জুন রহমান, তাওসীফ বিন তারেক ও তামহিদুর সিরাজ সানজিদ।
জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীরা হলো- মেহনাজ বিন্তে তাওহীদ, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, মেহজাবিন হাসান ঐশী, ফারিহা হাসান, আতিয়া ফিরোজ চৌধুরী, যুবরাজ দত্ত, সিয়াম তাহসিন ভূঁইয়া, সোয়াদ বিনতে সুলতানা চৌধুরী স্রোতি, শাকিরিন হক হিমী, মো. রাকিবুল হাসান, সাইফ সাদমান অর্ণব, আদিবা হক মল্লিক, ফয়সাল আহমেদ, মাইশা ইফফাত চৌধুরী ও আহমেদ রবিউল।
অনুষ্ঠানে কুদ্দুস আফ্রাদ তার বক্তৃতায় সাংবাদিকদের সন্তানদের মানুষ করার পেছনে তাদের স্ত্রীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শাহেদ চৌধুরী বলেন, একটি দেশ দুর্নীতির কারণে পিছিয়ে যায়। শিশুরা হয়তো জানে না দুনীর্তি কী। অভিভাবকদের শিশুদের বোঝাতে হবে যে কখনও যেন দুর্নীতি না করে। শিশুরা দুর্নীতি সম্পর্কে জানলে রাষ্ট্র দুর্নীতিমুক্ত হবে।
জামাল উদ্দীন বলেন, ২০১৩ সাল থেকে সাংবাদিক সন্তানদের উৎসাহ দিতে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৬/আপডেট ১৭০৩ ঘণ্টা
আরইউ/জিসিপি/এইচএ/