ঢাকা: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম তিন ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. আশফাকুস সালেহীন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএস এবং অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভর্তির আবেদনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ অনলাইনে সাত হাজার ৬০০ এবং এসএমএসের মাধ্যমে দুই হাজার ২৫২টি আবেদন এসেছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মো. মানজুরুল কবীর।
পরবর্তী ১৫ মিনিটে প্রায় ১০ হাজার আবেদন হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএসসিতে উত্তীর্ণ প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য আবেদন করবে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত।
কলেজ পরিদর্শক ড. মো. আশফাকুস সালেহীন বলেন, প্রথম দিন আবেদনের হার সন্তোষজনক।
তবে প্রথম দিন এসএমএস পাঠানোর পর ফিরতি এসএমএস দেরিতে আসছে বলে জানিয়েছেন অনেক আবেদনকারী।
এ বিষয়ে সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট বলেন, একজন প্রার্থীর একাধিক আবেদন ঠেকাতে এবার আগেই পেমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। গতবছর পরে টাকা নেওয়ায় অনেকে ফেক (ভুয়া) আবেদন করেছিল। এবার তা আর হবে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
কলেজ পরিদর্শক বলেন, টেলিটকের আবেদন বোর্ড থেকে ভেরিফাই হয়ে প্রার্থীর কাছে রিপ্লাই যায়। এক্ষেত্রে একটু সময় লাগছে। তবে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইট এবং এসএমএস করে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ২০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে যেকোনো মাধ্যমে ১০টির বেশি আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অনলাইনে আবেদনে মাত্র ১৫০ টাকা ফি দিয়ে ১০টি কলেজে আবেদন করা গেলেও এসএমএসে প্রতি কলেজের জন্য ফি লাগবে ১২০ টাকা।
আগামী ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করে প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন। ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত আসনের বিপরীতে নির্বাচিত শিক্ষা ভর্তি করা যাবে। আর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৩-৩০ জুন পর্যন্ত।
২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই। বিলম্ব ফি দিয়ে আগামী ১০-২০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন সিম ব্যবহার করতে হবে বলে আগেই জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
৫টি কলেজে পছন্দের সুযোগ রেখে গত বছর প্রথমবার অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এবার প্রথমে ১০টি ও পরবর্তীতে ২০ প্রতিষ্ঠান পছন্দের সুযোগ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, যাতে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন। পাসের হার ৮৮.২৯ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশের আগে ৯ মে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের এসএসসি উত্তীর্ণরাও ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (http://dhakaeducationboard.gov.bd/) ভর্তির নির্দেশিকা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (http://www.moedu.gov.bd/index.php?option=com_content&task=view&id=1120&Itemid=416) পাওয়া যাবে ভর্তির নীতিমালা।
**অনলাইন-এসএমএসে একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস