বরিশাল: প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শেষে অবশেষে স্থায়ী ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গভাবে যাত্রা শুরু করছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।
১ জুন (বুধবার) থেকে নগরীর কর্ণকাঠীতে নির্মিত ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে ববির পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
ফলে ববির অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা সিটি ক্যাম্পাস নামে আর কিছু থাকছে না। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত চার বছর ধরে বরিশাল জিলা স্কুলের ভবনে পরিচালিত হয়ে আসছিল ববির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল শহরের কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব পাশে কর্ণকাঠী গ্রামে ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর’ স্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথচলা শুরু হয়।
কিন্তু প্রয়োজনীয় ভবনসহ অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলতে থাকায় নগরীর জিলা স্কুল ভবনের কলেজ ক্যাম্পাসে অস্থায়ীভিত্তিতে শুরু হয় ববির একাডেমিক কার্যক্রম।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলম নাহিদ ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি ওই কলেজ ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চারটি নতুন বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষেই বাড়তে থাকে অনুষদ, বিভাগ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
বর্তমানে ববিতে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৮টি বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার।
এদিকে, নির্মাণকাজ চলার পাশাপাশি স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি কয়েকটি বিভাগ স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ববির সিটি ক্যাম্পাসের ব্যবহৃত ভবনগুলো জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নগরীতে নতুন যাত্রা শুরু করা দুটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের পাঠদান কার্যক্রমকে আরও বেগবানের লক্ষে ববির উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই মূল ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৬
এসআর