ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয় খোলার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক এটিএম মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বালাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত বিষয় খোলার জন্য বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন নেই। ’
তবে আইসিটি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার শর্ত দিয়ে শিক্ষা বোর্ড বলছে, আইসিটি বিষয়ে নিয়োগ করা শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।
গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে জানায়, বিশ্বমানের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কে আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আইসিটি বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করারও শর্তে বোর্ডগুলোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে বিষয় খোলার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় আবশ্যিক করা হয়েছে। ইচএসসিতে দ্বিতীয়বার এ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছর এসএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর পরীক্ষা হবে।
কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত নন। অর্থাৎ তারা বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পান না। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসা শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে।
**প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষকদের বেতন
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ