ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডার স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বর্ধিত বিভিন্ন ফি (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ) আদায়ে বিরত থাকতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে স্কুলের অধ্যক্ষের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
একইসঙ্গে আগামী ০১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অনীক আর হক।
ওই স্কুলের ৩৩ অভিভাবকের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ মে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বর্ধিত টার্ম চার্জ, সেশন ও টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ) আদায় থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে স্যার জন উইলসন স্কুলকে বেসরকারি (ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৭ এর আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২১ বছর ধরে পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। পরিচালনা পর্ষদ ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। অথচ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিক স্বেচ্ছাচারীভাবে ভর্তি ফি, বুক ফি ও সেশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করেছেন, যা বেসরকারি (ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৭ এর ৭, ৯, ১৭ ও ২০ ধারা পরিপন্থী।
২০১২ সালে একজন শিক্ষার্থীকে এ স্কুলে ভর্তি হতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ টাকা দিতে হতো। চার বছরের ব্যবধানে চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৬-২০১৭) তা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৮ টাকা। ট্রাস্টি বোর্ড এটি নির্ধারণ করতে করতে পারে না।
স্কুলের এসব সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ মে ৩৩ জন অভিভাবক রিট আবেদনটি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর