খুলনা: পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলে খুলনার বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ২২ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তারা পরীক্ষা বঞ্চিত হয়েছেন। এখন শিক্ষা জীবনের এক বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
ওই শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে প্রথমে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা সরকারি বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। রুটিন অনুযায়ী আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ও নীতিমালা (কোড-৩১২২৫৮) কোর্সের পরীক্ষা দিতে খুলনা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে যাই। পরীক্ষার হলে গিয়ে জানতে পারলাম আমাদের নির্ধারিত কোর্সের পরীক্ষা সকাল ৯টায় হয়ে গেছে। অথচ আমরা পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনার ব্যাপারে কিছুই জানি না। কেন্দ্র থেকে আমাদের কোনো প্রকার নোটিশ বা ঘোষণা জানানো হয়নি। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা বলছেন- আমাদের কিছুই করার নেই। নোটিশ ইন্টারনেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, সব পরীক্ষার্থী কি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন? গত ২৮ মে আমাদের আগের কোর্সের পরীক্ষা হয়েছে। সে দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে একবার ঘোষণা দিলে আজ আমরা এ ধরনের বিপদে পড়তাম না। এখন আমাদের প্রত্যেকের শিক্ষা জীবনের একটা বছর নষ্ট হবে।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা হলেন- তানজিলুর রহমান, আমিনুল হক, এস এম মনিরুজ্জামান, ইমরান গাজী, লোকনাথ মন্ডল, সুতপা ঢালী, তেরেজা গিলবার্ট, হালিমা খাতুন, খাদিজা বেগম, বেল্লাল হোসেন, মাসুদা আখতার, লিপিকা বিশ্বাস, হোসনে আরা, নাজমা খাতুন, রূপা খাতুন, শহিদুল ইসলাম, চন্দন রায়, তনুশ্রী দাস, দেবদাস মন্ডল, মাহবুবুল হক, মিথুন রায়, সুমিত্র হালদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়া রুখতে যে কোনো দিন ওই কোর্সের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আকুল আবেদন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এমআরএম/এইচএ/