ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি) সহকারী শিক্ষকদের (প্যানেল শিক্ষক) নিয়োগের নির্দেশ দিলেও সহসাই নিয়োগ পাচ্ছেন না প্রার্থীরা।
প্রতিদিন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেন না বঞ্চিত শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ১০/১৫ জন প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করছিলেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাপরিচালকের একান্ত সচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে চলে যান।
রোস্তম আলী, রিপন মিয়াসহ বঞ্চিত প্রার্থী সে সময় বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যমান সরকারি স্কুল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক বদলি হয়ে রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়গুলোতে চাকরি করছেন। এছাড়াও এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন ও অবসরজনিত কারণে পদ শূন্য না হওয়ায় নিয়োগ পাচ্ছেন না।
প্রার্থীরা বলেন, বদলিকৃত শিক্ষকদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত পদ বা সহকারীর যে কোনো একটি পদে গণনা করা হলে পদ শূন্য হবে। আর সে পদগুলোতে তারা নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
প্রার্থীদের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি মাসে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর মাঠ পর্যায়েও সে নির্দেশ পাঠায় অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী ২৮ হাজার শিক্ষকের মধ্যে স্কুলগুলোতে সাত হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব নয় বলে দাবি প্রার্থীদের।
প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের রিট আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেও অধিদপ্তর চার বছর আগের মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত রিট আবেদনকারীরা।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের ব্যাপারে অধিদপ্তর আন্তরিক। প্রথম দফায় নিয়োগ শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাকিরাও নিয়োগ পাবেন।
চলতি মাসের মধ্যে প্যানেলভুক্ত ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পাবেন বলে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস