ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভর্তির ফল প্রকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভর্তির ফল প্রকাশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ১১৪টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাপটপে তিনজন শিক্ষার্থীর ট্রাকিং নম্বর এন্ট্রি করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।

ফল প্রকাশের পর থেকেই মেধা তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলো, যা চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত।

কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.techedu.gov.bd) ছাড়াও আবেদনের সময় উল্লেখ করা শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

আর অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২-২৪ জুলাই ভর্তি শেষে আগামী ১৬ আগস্ট ক্লাস শুরু হবে।

এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদের কোর্সে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এর মধ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের দুই শিফটে মোট ৫৭ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।

এবার সরকারি ১১৪টি প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৭৭ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেন।

প্রথম শিফটে ৩২ হাজার ৩৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৯৯ হাজার ৭১৮টি এবং দ্বিতীয় শিফটে ২৫ হাজার ৪৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৬৫ হাজার ৪৫৯টি। ৩০ মে থেকে আবেদনের শেষ দিন ছিলো ২০ জুন।

গত বছর দুই শিফটে আসন সংখ্যা ছিলো ৩১ হাজার ৫৬০টি। এবার আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ২২০টি বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন গ্রহণ এখনো চলছে, ৩০ জুন আবেদন গ্রহণের পর পহেলা জুলাই ফল প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম এবং ২০৪১ সালের উন্নত দেশ গড়ে তুলতে আমাদের বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

“২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এনরোলমেন্ট ১.২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে”।

শিক্ষামন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কারিকুলাম প্রণয়নের উপর গুরুত্ব দেন।

শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস ও হেলাল উদ্দিন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬/ আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।