ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাত কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পরও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে। ফলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে তৈরি হয়েছে নানাবিধ জটিলতা, নেমে এসেছে স্থবিরতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই যোগ্য প্রার্থীদের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদে অতি দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
গত মাসের (আগস্ট) ২৫ জুলাই উপাচার্য অধ্যাপক শাদাত উল্লা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুইঁয়া এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হযরত আলীর মেয়াদ শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র জানায়, উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন তোলা, ফলাফল প্রকাশ করা, ফাইল অনুমোদন করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে জরুরি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।
ফলে কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ফলাফল বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের পূর্বের সেমিস্টারের ফলাফল প্রস্তুত হলেও উপাচার্যের অনুমোদনের অভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না। পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করতে পারছে না প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আউয়াল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাসের ২৮ বা ২৯ তারিখের মধ্যেই বেতন পেয়ে যাই। কিন্তু ভিসি না থাকায় কবে নাগাত বেতন পাবো এবার তা জানি না। ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে ধার-দেনা করে চলছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী সরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় অফিসের ফাইল ওয়ার্কে খুবই কম সময় পাচ্ছেন। তবে শেকৃবিতে কে কোন পদে নিয়োগ পাবেন, তা চূড়ান্ত হয়েছে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ তিন পদে আগামী সপ্তাহে নিয়োগ হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুইঁয়া বা কৃষি অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ নতুন উপাচার্য হতে পারেন বলে ক্যাম্পাসে বেশ ভালোই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
কৃষিতে সার্বিক অবদানের জন্য সম্প্রতি স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত গবেষক অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুইঁয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাকে ভিসি করা হলে প্রথমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে মানসম্মত গবেষণার প্রসার ঘটাবো।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন করবো।
উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার পদে আসতে পারেন অধ্যাপক ড. হযরত আলী, অধ্যাপক ড. সেকান্দার আলী, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগ, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলীর মধ্যে যে কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
আইএ