ঢাকা: শর্ত পূরণ না করার পরও ১৫৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায় দশটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এছাড়া এ শিক্ষার্থীদের কেন জরিমানা করা হবে না সে বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিলের শুনানির সময় বুধবার (১০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে ২১ অগাস্টের মধ্যে এসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলেছেন আদালত।
এছাড়া ১৫৩ শিক্ষার্থীকে প্রথম পর্বের পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেওয়ার আদেশও স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
দশ মেডিকেল কলেজ হল- শমরিতা মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ, জয়নুল হক শিকদার মেডিকেল কলেজ, এ আর মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, তাইরুন নেছা মেডিকেল কলেজ, আইচি মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশিয়ান মেডিকেল কলেজ।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও এএফ এম মেসবাহ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাসুদ রেজা সোবহান ও অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন।
আদেশের পর খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ১৫৩ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত করছেন আপিল বিভাগ। লিভ টু আপিল ২১ অগাস্ট আবার শুনানির জন্য তালিকায় থাকবে বলেও জানান তিনি। ওই সময়ের মধ্যে দশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে জবাব দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
টিএইচ/এসএইচ