ঢাকা: প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন বছরের প্রথম দিন সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবে সরকার। তবে এবারও আলাদা স্থানে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রকাশিত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৬ কোটি বই বিতরণ করা হবে। ২০১০ সাল থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই বিতরণ করে আসলেও পরের বছর থেকে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করছে সরকার।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০১৭’ পালন করা হবে। আগামী ১ জানুয়ারি (রোববার) সারাদেশে সব শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে এ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
‘শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সারাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উৎসব পালিত হবে। ’
এবছর শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিতরণ করা হবে। এবার পাঁচটি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে।
‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০১৭’ যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করবে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, উৎসবে প্রধান অতিথি থাকবেন অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গতবছর ধানমন্ডির গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল মাঠে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান উৎসবের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি বিদ্যালয়ের চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
গতবছরের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২ জানুয়ারি উৎসব করার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে শুক্রবারই বই তুলে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের হাতে। আর আগে থেকেই ছুটির দিন শুক্রবার নির্ধারিত ছিল প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের।
২০১৪ সালে ১ জানুয়ারি একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে যৌথভাবে পাঠ্য পুস্তক উৎসব পালন করে।
২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন করে। আর প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন কালাচাঁদপুর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস