ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জাতীয়করণকৃত ৫ হাজার বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
জাতীয়করণকৃত ৫ হাজার বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ

নতুন জাতীয়করণ করা পাঁচ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি, স্যানিটেশন, চেয়ার বেঞ্চ কেনাসহ নানা উন্নয়নে ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার।

ঢাকা: নতুন জাতীয়করণ করা পাঁচ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি, স্যানিটেশন, চেয়ার বেঞ্চ কেনাসহ নানা উন্নয়নে ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার।

 

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে চাহিদার ওপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত ২৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হবে।

২৩ হাজার শ্রেণিকক্ষে হাই-লো বেঞ্চ এবং শিক্ষকদের চেয়ার-টেবিল কেনার পাশাপাশি দুই হাজার শিক্ষক কক্ষের সাজসজ্জা করা হবে।
 
‘চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের (২২ ডিসেম্বর) একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে কার্যতালিকায় রয়েছে প্রকল্পটি।
 
২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে সারাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
 
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার মোট ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে, এটি তার অন্যতম। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে মিলিয়ে প্রায় ৮১ হাজারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৯৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। সম্প্রতি সরকার ২৬ হাজার ২০০টি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শিক্ষকসহ জাতীয়করণ করেছে। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৭২টি।

১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ করা সরকারি বিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোর অধিকাংশই টিনশেড বা সেমি-পাকা ভবনে অবস্থিত। সেগুলোর মধ্যে পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুবান্ধব শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিখন শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ। যেন সব শিশুর জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি ও সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনা যায়।
 
সবার জন্য শিক্ষাসহ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়া হ্রাস, উপস্থিতির হার বৃদ্ধিসহ গুণগত শিক্ষা চালুও এর লক্ষ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।