ঢাকা: দেশের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তিনি বাংলা সাহিত্যে নামকরা ও জনপ্রিয় বিভিন্ন চরিত্র সৃষ্টি করে গেছেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় আর্কভস ও গ্রন্থাগার মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ফেস্টিভালটির আয়োজন করে বিতর্ক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন, বাংলাদেশ (এনডিএফ বিডি)।
প্ল্যানচেট বিতর্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বিতার্কিকরা বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে হুমায়ূনের সৃষ্ট চরিত্র ‘বাকের ভাই’, ‘হিমু’, ‘শুভ্র’, ‘রূপা’ ও ‘মুনা’ চরিত্র ধারণ করে মঞ্চে উঠে আসেন। এসব চরিত্রে অংশ নেন বিতার্কিক শুভ, দীপ্ত, মাহমুদ, তোরসা ও এশা।
হলুদ পাঞ্জাবি পরে বিতার্কিক শুভ তুলে ধরেন হিমু চৈত্রের মূল বৈশিষ্ট্য। হিমু (শুভ) বলেন, ‘রূপা আমার পাঞ্জাবি দিয়েছিলো পকেট ছাড়া। কারণ জানতে চাইলে রূপা বলেছিলো তোমার তো টাকা থাকবে না, পকেট দিয়ে কী হবে?’
লৌকিকতা ও অলৌকিকতার মধ্যে তরুণদের নানা পাগলামি হিমুর মাধ্যমে ফুটে শুভর কণ্ঠে।
বহুল আলোচিত বাকের ভাইয়ের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেন দীপ্ত। তুলে ধরেন মুনাকে কেন্দ্র বাকের চরিত্রের নানা দিক। সেই ‘হাওয়া মে উড়তা যায়ে’ গান গাইতে-গাইতে দীপ্ত শেষ করেন তার পারফর্মেন্স। এভাবে বাকি চরিত্রগুলো বিতর্কের মঞ্চে তুলা ধরা হয়। যা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে এনডিএফের চেয়ারম্যান এ কে এম শোয়েব তার বক্তব্যে বলেন, ‘বই পড়তে যিনি শিখিয়েছিলেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ। কথার জাদুকর ছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে হ্যামিলিওয়ানের বাঁশিওয়ালা ছিলেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ। ’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজের হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন। এরআগে বেলা ১২টার দিকে অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত ফেস্টিভালটি উদ্বোধন করেন।
** ‘বাংলাদেশ আজ যা ভাবে, বিশ্ব তা কাল ভাবে’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
ইউএম/টিআই