ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদে ‘পুল শিক্ষক’দের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ‘পুল শিক্ষক’দের করা রিট মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে ৬১ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম দফায় দুই হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ পাবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও প্রার্থীরা। পরবর্তীতে অন্য রিটকারীরাও নিয়োগে পাবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নিয়োগের নির্দেশের পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জট খুলতে যাচ্ছে।
প্রার্থীদের ৭১টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি পুল শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২১ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পিলিসি অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হযেছে, রায়ের বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নিযোগের জন্য চিঠি দেয়।
চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পুল শিক্ষকদের তালিকা থেকে রিট পিটিশনে অন্তর্ভুক্ত তার জেলার প্রার্থীদেরকে শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান করে অধিদফতরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
২০১১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তির পর উত্তীর্ণ ৪৪ হাজার ৬০৯ জনের মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়মিত সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উত্তীর্ণ বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে ভবিষ্যতে নিয়োগের জন্য ‘পুল শিক্ষক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
এরপর নতুন নীতিমালা অনুসারে পুলভূক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ শুরু হলেও সবাই নিয়োগ পাননি। নিয়োগের জন্য তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। রায় পক্ষে এলেও নিয়োগ না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা।
ওই নিয়োগ না হওয়ায় প্রাথমিকে প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রযেছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী পুল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে বলেন, ৭১টি রিট আবেদনে দুই হাজার ১৯০ জন পক্ষভুক্ত রয়েছেন। রায়ের পর অন্য প্রার্থীরাও রিট আবেদন দায়ের করেন।
অন্যদিকে, চলতি বছরের প্যানেল থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর