শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা (১ জানুয়ারির প্রথম প্রহর) বাজতেই হই-হুল্লোড় করে এ নববর্ষ বরণ করেন তারা। এসময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সন্ধ্যা থেকেই নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুরো টিএসসি এলাকায় শিক্ষার্থীদের ঢল নামে। তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
ভাস্কর্যের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা বাজতেই উচ্ছ্বাস ও উল্লাসের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করেন শিক্ষার্থীরা। তারপর শুরু হয় বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। ওঠে ভি চিহ্ন দেখিয়ে সেলফি তোলার জোয়ার। এসময় ‘ভি’ চিহ্নও প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জয়া মৈত্র, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সানজিদা আনসারি ও নুজহাত ই রহমান এসেছেন এখানে বন্ধুদের সঙ্গে নববর্ষ বরণে।
নতুন বছরে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে তারা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছরে যে প্রত্যাশা ছিল, যা বাস্তবায়ন করতে পারিনি তা পূরণ করার চেষ্টা করবো। আর দেশে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এ বছর, ২০১৭ সালে তেমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
এদিকে এবার টিএসসিসহ উন্মুক্ত স্থানে বড় অনুষ্ঠান, আতশবাজি ও পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী তাদের হলে হলে নববর্ষ বরণের আয়োজন করেছেন।
মাস্টারদা সূর্য সেন হলে দেখা যায়, হলের ওয়াইফাই জোনের পাশে মঞ্চ বানিয়ে গান পরিবেশনের পাশাপাশি ফানুস উড়িয়ে উল্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নববর্ষকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাম্পাসে। শাহবাগ মোড়, দোয়েল চত্বর ,পলাশীর মোড় ও নীলক্ষেত মোড়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশি ব্যারিকেড। ক্যাম্পাসে টহল দিতে দেখা যায় সোয়াতের সদস্যদেরও।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে বহিরাগত প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয় ক্যাম্পাসে। রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত শিক্ষকদের গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
পুলিশের কাজে সহযোগিতা করতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির সদস্যরা। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পোশাকধারী ও সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এবং শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথ পরিদর্শন করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এইচএ/