পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে বিসিএসের আগামী লিখিত পরীক্ষা থেকে এ পদ্ধতির প্রয়োগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
এর ফলে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও প্রশ্ন প্রণয়ন হবে, উত্তর করা যাবে- যা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাদায়ক হবে বলে মনে করছে পিএসসি।
বর্তমানে বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলায় প্রণয়ন হয়, এতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় শুধু উত্তরপত্রে বৃত্ত ভরাট করেন প্রার্থীরা। আর লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোর প্রশ্ন শুধু বাংলা মাধ্যমে প্রণয়ন করা হয়।
প্রার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা নিজ ভাষায় দিয়ে বাকি বিষয়গুলোর প্রশ্ন সুবিধামতো ভাষায় উত্তর করতে পারেন। তবে ইংরেজিতে শুরু করলে ইংরেজি ও বাংলায় শুরু করলে বাংলায় উত্তর শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ৩৪তম বিসিএস পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলা মাধ্যমে থাকলেও ব্র্যাকেটে ইংলিশ ভার্সন ছিল। বাংলা মাধ্যমের সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যমের ভাবার্থ ভিন্নতায় ইংরেজি মাধ্যম উঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এক প্রশ্নের সঙ্গে বা প্রশ্নপত্রের শেষে আলাদা জায়গায় ইংরেজি ভাষায় প্রশ্ন থাকবে।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চিন্তা করছি বাই ল্যাঙ্গুয়েল প্রশ্ন প্রণয়ন করার। এতে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও প্রশ্ন থাকবে। তবে বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ৩৮তম বা ৩৯তম থেকে লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি মাধ্যমের প্রয়োগ করা হবে বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ