রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে প্রীতিলতা হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ছয় দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেয়েদের হল সংলগ্ন এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না, টারজান্ট পয়েন্টে কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার করতে হবে, দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নামে ছাড়া অন্য কারো নামে অবকাঠামো নামকরণ করা যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংশ্লিষ্ট যে কোনো সিদ্ধান্ত প্রণয়নে শিক্ষার্থীদের মতামত প্রধান্য দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোকে বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না এবং মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য বহিরাগত ও গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা টারজান্ট পয়েন্টে অবস্থিত কনভেনশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তরে ‘থুথু’ ফেলে ঘৃণা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংষ্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আব্দুল কাদির মোল্লার নামে কনভেনশন সেন্টার করা অযৌক্তিক। এখানে আব্দুল কাদির মোল্লা টাকা দিয়ে নাম কিনতে চেয়েছেন। স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে অবাঞ্ছিত ব্যক্তির নামে কোনো কিছু হতে পারে না।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার(১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিল্প উদ্যোক্তা, থার্মেক্স গ্রুপ ও মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান্ট পয়েন্টে ‘আবদুল কাদির মোল্লা কনভেনশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
জিপি/পিসি