শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড-২০১৭ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
নাহিদ বলেছেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসা এবং মেয়েদের সমতা অর্জন করা আমাদের বিরাট অর্জন।
বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. খোরশেদ আহমেদ কবিরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছাত্তার।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশে সব শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসছি, আগে অর্ধেক শিশু স্কুলে আসতো না। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি লক্ষ্য অনুযায়ী আমাদের দুটি চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমটি হচ্ছে ২০১৫ সালের মধ্যে সব শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসতে হবে। আরেকটি হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়ে-ছেলের মধ্যে সমতা অর্জন ও মানসম্মত শিক্ষা দেয়া।
বর্তমানে সমতা অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমরা প্রায় সবাইকে স্কুলে নাম লেখাতে পেরেছি। কিন্তু সকলে স্কুলে আসে না। সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আমরা সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক স্তরে শতকরা ৫১ জন মেয়ে ৪৯ জন ছেলে। মাধ্যমিক স্তরে ৫৩ জন মেয়ে আর ৪৭ জন ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শতকরা ৪৫ জন মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় পড়াশুনা করছে। ’
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা লক্ষ্য করি। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রদের সব চেয়ে ভাল মানুষ হতে হবে। তোমরা লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাও তাহলে তোমরা ভাল মানুষ হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় বিজ্ঞান মেলা। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭টি দল অংশ নেয়। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অলিম্পিয়াডের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এসকেবি/বিএস