ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ঢাকা কলেজে সংঘর্ষের নেপথ্যে আধিপত্য বিস্তার ঢাকা কলেজে সংঘর্ষ/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ছাত্রলীগ ঢাকা কলেজ শাখার দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘হিরন গ্রুপ’ এর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।

রাজু গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে হিরন গ্রুপের ওপর হামলা চালালে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

হামলায় রাসেল, মামুন ও কাজল নামে তিন ছাত্র আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ সময় হামলাকারীরা উত্তর ছাত্রাবাসের কয়েকটি কক্ষে ভাংচুরসহ হলের সামনে রাখা সাতটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় গত ১৭ নভেম্বর ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ শাখার একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ‘রাজু গ্রুপ’র নেতৃত্বে রয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক নূরে আলম ভূঁইয়া রাজু আর ‘হিরন গ্রুপ’র নেতৃত্বে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিরণ ভূঁইয়া।

রাজু গ্রুপের সমর্থকদের একাংশ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতো। তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শনিবার হিরন গ্রুপের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক আবাসিক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা রাজু গ্রুপের সমর্থকরা হিরন গ্রুপের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে করে হিরন গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়।

পরে হিরন গ্রুপের সদস্যরা রাজু গ্রুপের ওপর পাল্টা হামলা চালায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে।

রমনা জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে হলগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে দা, লাঠি ও রড উদ্ধার করেছে পুলিশ সদস্যরা। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ থেকে ১২ জনকে আটকও করা হয়েছে। মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শনিবার দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের গেটগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কলেজে ও হলের ভেতরে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটি হলের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানান মারুফ হোসেন সরদার।

কলেজের ভেতরে মোট আটটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থাকেন। বাকি সাতটিতে থাকেন অনার্স ও মাস্টার্সের ছাত্ররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
পিএম/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।