রোববার (২২ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্দেশিকার দায়িত্ব বিন্যাস উপেক্ষা করে বদলির আদেশ জারি করা হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে।
এ সময়ের মধ্যে শিক্ষক বদলির জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও মহাপরিচালককে আন্তঃবদলির ক্ষমতা দেওয়া হয় নির্দেশিকার ২.১ থেকে ২.৭ ধারায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষক বদলির নির্দেশিকার ২.১ থেকে ২.৭ ধারা যথাযথ অনুসরণপূর্বক বদলির কাজ সম্পন্ন করা এবং এই সংক্রান্ত ফলোআপ বদলির আদেশ জারির সাত কর্ম দিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। ফলোআপ প্রদানে ব্যর্থতা এবং বদলি প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা থেকে উপসচিব গোপাল চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত আদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, সকল বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের আদেশ পরিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বদলির নির্দেশিকা অনুযায়ী, বছরের শুরুর তিন মাস ছাড়াও যেকোনো সময় মন্ত্রণালয় যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো স্থানে বদলি করতে পারতো।
তবে মন্ত্রণালয়ে এসে তদবিরের কারণে গত ৩ জানুয়ারি সেই ক্ষমতা স্থগিত করে আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
** প্রাথমিক শিক্ষক বদলিতে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ