শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যত্রতত্র গাড়ি পাকিংয়ের ফলে ক্যাম্পাসে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তও অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ফি নেওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের গাড়ির চাপে ক্যাম্পাসের সড়কগুলোতে বিশেষ করে বটতলা এলাকায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাবি প্রশাসন গত ১ জানুয়ারি থেকে নির্দিষ্টস্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করে। দর্শনার্থীদের গাড়ি প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়- বাস/মিনিবাস প্রতি ২০০ টাকা এবং প্রাইভেটকার/জিপ/মাইক্রোবাস প্রতি ১০০ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্টস্থানে পার্কিংয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও প্রবেশ ফি নেওয়ায় আপত্তি জানায়। তারা বলেন, একদিকে প্রবেশ ফি নেওয়া হচ্ছে অন্য দিকে সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ আগের মতোই। প্রশাসন যদি শৃঙ্খলা আনতে না পারে তাহলে ফি নিয়ে কী লাভ!
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহিন বলেন, ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষার্থী। তারা প্রবেশ ফি ঠিকমতো দিলেও যথাস্থানে গাড়ি পাকিং করেন না। ফলে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক ও বটতলা এলাকায় গাড়ির চাপ ও যত্রতত্র পাকিং রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা ছাড়াই শুধুমাত্র এন্ট্রির জন্য যে ফি নেওয়া হচ্ছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর নিজের ক্যাম্পাসে এন্ট্রি ফি দিয়ে প্রবেশ করা একজন সাবেক শিক্ষার্থীর জন্য অপমানজনক।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এটি