এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবকে স্মার্টফোন না নিয়ে সাধারণ ফোন নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে অন্যদের মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস না নিতে নির্দেশও দেন শিক্ষামন্ত্রী।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। সরকারকে হেয় করতে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়, আবার অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করেন। ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন তারা।
তিনি বলেন, যেখানেই এটা হোক (প্রশ্ন ফাঁস) কন্ট্রোল রুমে জানাবেন, কন্ট্রোল রুমকে জানালে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্ক বন্ধ করে দেবে। বিটিআরসির সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি।
গত কয়েক বছরে ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একাধিক চক্র ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে বলেও দাবি করেন নাহিদ। পুলিশের কাছে থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ভুয়া প্রশ্ন ফাঁস করা হয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দয়া করে এসবের পেছনে ছুটবেন না। অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন নাহিদ।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে পারবে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, কেন্দ্র সচিব যেন স্মার্টফোন না নেন। শুধু ইনফরমেশন বিনিময় করতে সাধারণ ফোন নেবেন। মোবাইলে ফটো তুলে (প্রশ্নের ফটো) বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
যদি কোনো শিক্ষক কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে ২ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪-১১ মার্চের মধ্যে শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, শিক্ষা মরন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এমআইএইচ/এএটি/এমজেএফ