সন্ধ্যা নয় রাতে মিলবে প্রবেশপত্র-রেজিস্ট্রেশন কার্ড! নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই এমন আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অথচ আশেপাশের বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা গত ৩ থেকে ৪ দিন আগে পেয়েছেন প্রবেশপত্র।
তার মতো একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আরও ১২৫ পরীক্ষার্থীর। সন্তান শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না, সে দুশ্চিন্তায় অস্থির সময় পার করছিলেন অভিভাবকরাও।
অবশেষে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৮ ঘণ্টা আগে বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২ টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকার আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পৌঁছালো পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
এ বিষয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা বোর্ডের গাফিলতি ও গড়িমসির কারণেই প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে পেতে বিলম্ব হয়েছে। বোর্ডের এক শ্রেণির কর্মকর্তারা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এভাবেই কৌশলে হেনস্থা করছেন।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য তাদের কাছ থেকে ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। কিন্তু সেই মোতাবেক বোর্ডে খরচ করা হয়নি। ফলে পরীক্ষার্থীদের মতো স্কুল কর্তৃপক্ষকেও চরম খেরাসত দিতে হলো পরীক্ষার প্রস্তুতির শেষ রাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের প্রশাসনিক শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই দিন যাবত বিদ্যালয়ের মনোনীত একজন বোর্ডের বড় কর্তাদের কাছে প্রবেশপত্রের জন্য ধর্ণা দিয়েছি। এরপর অনেক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাত ১০ টার পর স্কুলের মনোনীত প্রতিনিধির হাতে ১২৫ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। পরে ঢাকা থেকে রাত ২ টার দিকে এ স্কুলে প্রবেশপত্র নিয়ে আসা হয়।
স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী তৌকির আহম্মেদ তানভীর ও রফিকুজ্জামান সাজন বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকমতো হয়নি। তবুও পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে দুশ্চিন্তা কাটলো।
পরীক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসিরের মা আসমা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, শুনেছি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে না পারায় তারা প্রবেশপত্র-রেজিস্ট্রেশন কার্ড আটকে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এমএএএম/ইইউডি/এনটি/আরআইএস