শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থন ধর্মঘট করেছেন তারা। এছাড়া ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা শরীর থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত নিয়ে রাস্তা ও প্রশাসন ভবনের সিঁড়িতে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট প্রথা বাতিলের দাবি জানান। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শনিবার পঞ্চমদিনের মতো ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের দাবিকে অযৌক্তিক বলছে রুয়েট প্রশাসন।
এর আগে আন্দোলন থামাতে ৩১ জানুয়ারি রুয়েট প্রশাসন ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেয়। পরের দিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়বে। বিশেষ করে, রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সংকট থাকায় যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবে না তাদের অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে।
এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বাংলানিউজকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে আছি। এখন বিস্তারিত কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শোনেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
আরবি/এসআই