এসময় আটক ৩ শিক্ষককে ১ মাস করে কারাদণ্ড ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক হলেন- মো.ফায়জুর রহমান, আব্দুর রশিদ খান, জসিম উদদীন। বহিষ্কার হওয়া সকলেই ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরু হলে এক শিক্ষক রুমে এসে তাদের বলেন সকলেই ক সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করো। শিক্ষকের কথা মত প্রায় সকল পরীক্ষার্থীই ক সেট উত্তরপত্র ভরাট করে।
বিষয়টি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এর নজরে আসলে তিনি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. এরাদুল হক, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ মল্লিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।
জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় ৪ সেট প্রশ্ন। যে যেই সেট প্রশ্ন পাবে তাকে সেই সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করতে হবে। সেখানে কক্ষের সকলেই একটি সেট এর উত্তরপত্র ভরাট করে। পরীক্ষার্থীদের এই অসুদাপায় অবলম্বনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হুঁশিয়ারি করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা কর্ণপাত করেননি। শিক্ষকদের কাছে এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
বিএস