শিক্ষার্থীরা এতে চাপমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ভালোভাবে জ্ঞানার্জন করতে পারবে বলে মনে করছে ইউজিসি।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু পাসের জন্য নয় ডিগ্রি অর্জন, জ্ঞানার্জনের জন্য এবং ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমাতে সেমিস্টার কমাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই তিনটি সেমিস্টারের স্থলে দু’টি করে সেমিস্টারে পড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উচ্চ শিক্ষায় বিশেষত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি সেমিস্টারের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ক্লাস-পরীক্ষার চাপ থাকে বেশি। পাশাপাশি সেমিস্টারের নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি কেটে নেওয়া হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো পড়াশোনার জায়গা, ব্যবসা করতে হলে অন্য ব্যবসা করেন, আমরা বলে দিয়েছি। সেমিস্টার কমানোর ফলে চার বছরের অনার্সে আটটি সেমিস্টারে শেষ করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিজাইন তৈরি করে দিওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মৌলিক বিষয়গুলো যেন কোর্স-কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত থাকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নির্দেশনায়।
বর্তমানে সরকারি ৩৪টির মধ্যে ৩২টিতে এবং বেসরকারি ৯৫টির মধ্যে ৮৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবশ্যিকভাবে ১০০ নম্বরের বাংলা ভাষা ও ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস শিক্ষার্থীদের পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ