ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কারিগরিই হবে শিক্ষার মূলধারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
কারিগরিই হবে শিক্ষার মূলধারা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ স্টল পরিদর্শন করছেন/ ছবি: দোলোয়ার হোসেন বাদল-বাংলানিউজ

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরিই হবে শিক্ষার মূলধারা। কারিগরি শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। নতুবা এরাই হয়ে উঠবে দেশের জন্য বড় বোঝা।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) আয়োজিত জাতীয় স্কিলস কম্পিটিশন ২০১৬ উদ্বোধন শেষে স্টল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন,বর্তমানে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক সুবিধার মধ্যে আছে।

একশ বছরের অধিক সময় পরপর কোনো দেশ এ সুবিধা পায়। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ। শতকরা হারে তা ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে এ হার ৭০ শতাংশে উন্নীত হবে। এ এক বিশাল সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক কারিগরি প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কারিগরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাত আর কারিগরি শিক্ষার অগ্রাধিকার সব চেয়ে বেশি। সরকার ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ১ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশের উপরে উন্নীত করেছে। এ হার আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার জোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ খাতের উন্নয়নের জন্যে সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ করেছে। শুধু তাই নয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানোসহ নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো স্কিলস কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর মাসে ১৬২টি সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিলো। সেখান থেকে উঠে এসেছিলো নতুন ৮০০ প্রকল্প। আর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় আঞ্চলিক পর‌্যায়ের প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে সেখান থেকে জাতীয় পর‌্যায়ে এসেছে ৫১টি প্রদর্শনী প্রকল্প। আজ নির্বাচিত হবে শীর্ষ তিন প্রকল্প। যে তিন প্রকল্প জাতীয় প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখবে।

এছাড়া এ কম্পিটিশন উপলক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে সকালে জাতীয় জাদুঘর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে কাকরাইলে আইডিইবিতে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে ঢাকার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন,বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব মো. আলমগীর, স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের পরিচালক এবিএম আজাদসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
 এসজে/আরআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।