ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উপাচার্যহীন রাবিতে প্রশাসনিক কাজ স্থবির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
উপাচার্যহীন রাবিতে প্রশাসনিক কাজ স্থবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)

রাবি (রাজশাহী): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম থমকে আছে। ২১ দিন ধরে রাবিতে বিরাজ করছে প্রশাসনিক শূন্যতা।  

দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবেও কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় কোনোভাবেই প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের।

১৯ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এবং উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানের মেয়াদকাল শেষ হয়।

এরপর ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও শীর্ষ এ দুই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৩ সালেও আগের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য (ভিসি) ও উপউপাচার্য (প্রো-ভিসি) পদ দু’টিতে নিয়োগ পেতে জোর লবিং-গ্রুপিংয়ে মেতে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ দুই পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পরীক্ষার কমিটি গঠন, মূল সনদপত্র উত্তোলন, ভর্তি কার্যক্রম, ফিন্যান্স কমিটি, একাডেমিক কমিটির সভা, অন্যান্য আর্থিক খাত, বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজনের অনুমোদন থমকে আছে।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা এবং চিকিৎসা কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তারা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় কোনোভাবে এসব কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের। এছাড়া উপাচার্য, উপউপাচার্য পদশূন্য থাকায় অন্য দফতরগুলো নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূল সনদপত্র পেতে ১৮০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ১৫৩টি পুরোপুরি প্রস্তুত, শুধুমাত্র উপাচার্যের স্বাক্ষর না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বছরের শুরুর দিকে হওয়ায় বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা কমিটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন ও ফল প্রকাশ একই কারণে আটকে আছে।

রাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে ভিসি ও প্রো-ভিসির মেয়াদ শেষে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিন দফা বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনো নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সব ক্ষেত্রে ভোগান্তি হচ্ছে, শীর্ষ দুই পদের পরে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চাইলে আমরা সব করতে পারি না, ফলে কার্যক্রম প্রায় থমকে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।