ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে চলছে চারুকলা বিভাগের বৈশাখী মেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
জবিতে চলছে চারুকলা বিভাগের বৈশাখী মেলা জবিতে চলছে চারুকলা বিভাগের বৈশাখী মেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচ তলায় ক্ষুদ্র পরিসরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

পহেলা বৈশাখের পরদিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বড় বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকার কারণেই চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছোট পরিসরে তাদের এই মেলা করছেন।

মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, এ মেলায় রয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি নানান রঙের হাত পাখা, ছোট-বড় আকারের সরা, নানা আকারের ঘট, জবিতে চলছে চারুকলা বিভাগের বৈশাখী মেলাবিভিন্ন ঢংয়ের মুখোশ, নানা আকৃতির অরিগ্যামি।

এছাড়াও রয়েছে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহারের জন্য মুখোশ। মূলত নিজেদের তৈরি দ্রব্যসামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রি — দু’টির কাজই একসঙ্গে চলছে এখানে। অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই বৈশাখী সামগ্রীটি কিনতে ভিড় করছেন মেলার স্টলগুলোতে।

আয়োজকরা জানান, মেলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। কেনাকাটায় কমতি নেই মেলায়। গত ১০ এপ্রিল (রবিবার) থেকে চলছে এই মেলা। প্রথম দিকে তেমন বিক্রি না থাকলেও শেষ সময়ে তা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়া পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

মেলার স্টলে বিক্রির দায়িত্বে থাকা চারুকলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ জিনিসের পসরা বলা যায় একে। এখান থেকে কম দামে বৈশাখের বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে পারছেন অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।

মেলায় ঘুরতে আসা অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা তাবাসসুম বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখের বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা শাহবাগে যেতে হলেও, আমাদের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এখন এখানেই সেসব পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বাঙালিত্ব ধারণ করার যে চেষ্টা এখানে রয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

তবে মেলাটি আরও একটু বৃহৎ আকারে করা গেলে সবার মধ্যে উৎসবের একটি আমেজ ছড়িয়ে যেতো বলেও মনে করেন জবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
ডিআর/জিপি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।