এই কলেজ থেকে ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৮২১ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৫৪ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে মোট শিক্ষার্থী ১ হাজার ২৮৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২১ জন। মানবিক বিভাগে ২৪৩ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ জন। ব্যবসা শাখায় ২৯০ জনের মধ্যে ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
দুপুর ২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে রেজাল্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যের তালে তালে নাচ ও কেক কেটে উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সাফল্যের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন বন্ধু, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
তবে এতো আনন্দের মাঝে কয়েকজনের উল্টো চিত্রও দেখা গেল। জিপিএ-৫ না পাওয়ায় হতাশায় অনেককেই কান্না করতে দেখা গেছে।
এমনই একজন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগের তাবিয়া হাসান নিশা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এবারই প্রথম ম্যাথে সৃজনশীল পরীক্ষা হয়েছে। আমার সব পরীক্ষা ভালো হয়েছে। গণিতে সমস্যা ছিলো। ২য় বর্ষে এসে জানতে পারি গণিতে সৃজনশীল পরীক্ষা হবে। এজন্য প্রশ্ন বুঝতে পারি নি।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া ফাতিহা বাশার বলেন, অবশেষে অনেক টেনশনের পর রেজাল্ট পেলাম। আমার অনেক ভাল লাগছে। বাবা-মা ও শিক্ষকদের কষ্ট সফল হয়েছে। পরিসংখ্যানে সৃজনশীল পরীক্ষা হওয়ায় ভয় পেয়েছিলাম।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গর্বিত বাবা আবুল বাশার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, খুবই ভাল লাগছে, আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে ভবিষ্যতে ব্যবসায়ী হতে চায়। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
ফলাফল সন্তোষজনক জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশের ফলাফলের যে অবস্থা, সে হিসেবে আমাদের ফলাফল ভালো হয়েছে। ভিকারুননিসার ভালো ফলাফলের পেছনে অভিভাবক, শিক্ষক ও ছাত্র মিলে ত্রিমুখী একটা প্রচেষ্টা আছে।
জিপিএ-৫ কমার বিষয়ে তিনি বলেন, জিপিএ-৫ দিয়ে ফলাফলের মূল্যায়ন হয় না। তাছাড়া এবারই প্রথম হঠাৎ করে অনেক বিষয়ে সৃজনশীল পরীক্ষা হয়েছে। অভ্যস্ততা না থাকায় অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে, এজন্য জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমসি/জেডএম