এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৯৭ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৭০০ জন।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য মিলেছে।
২০১১ সালে ৩০ হাজার ৮৯৪ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ২৩ হাজার ৩৮১ জন। ২০১২ সালে ৩৭ হাজার ৩৭২ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৩১ হাজার ৯০৩ জন। ২০১৩ সালে ৪২ হাজার ৯৮০ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৩৪ হাজার ৯ জন। ২০১৪ সালে ৫৭ হাজার ৫৬১ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৪৫ হাজার ৫৬৮ জন। ২০১৫ সালে ৫৭ হাজার ৭০২ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয় ৪৩ হাজার ২৮ জন। ২০১৬ সালে ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করে ৪৩ হাজার ৮৭০ জন। বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
তবে সিলেট বোর্ডের হতাশার কারণ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসা। ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এবার সর্বাপেক্ষা কম জিপিএ-৫ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এবছর ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৬ হাজার ৭শ’ ৯৭ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৭০০ শিক্ষার্থী। যা মাত্র ১ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট পাসের হার ৭২ শতাংশ।
এরআগে ২০১৬ সালে এ বোর্ডে ৪৩ হাজার ৮৭০ জন কৃতকার্য শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৩৩০ জন।
২০১৫ সালে ৪৩ হাজার ২৮ জন পাস করে এবং জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৩৫৬ জন।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ২০১৪ সাল ছিলো সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফিরে দেখার বছর। ওই বছর ৪৫ হাজার ৫৬৮ শিক্ষার্থী পাস করে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় ২ হাজার ৭০ জন।
এছাড়া ২০১৩ সালে ৩৪ হাজার ৯ জন পাস করে। আর জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৫৩৫ জন। ফলাফল বিবেচনায় ফুটে ওঠে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সিলেট বোর্ডের হতাশার চিত্র।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা হয় ৭৭ কেন্দ্রে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে আটটি কলেজ। বোর্ডে পাসের হার ৭২ শতাংশ। এবছর মোট ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৬ হাজার ৭শ’ ৯৭ জন। এদের মধ্যে ছেলে ২১ হাজার ৩০ ও মেয়ে ২৫ হাজার ৭৬৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এনইউ/জেডএস