সোমবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রকাশিত নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেন সমিতির সদস্যরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভায় আমরা যে অভিন্ন নীতিমালা দিয়েছি তা গ্রাহ্য করা হয়নি।
তিনি বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে স্নাতকে মেধাভিত্তিক শীর্ষ সাত শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী প্রভাষক পদে আবেদনের যে নীতি করা হয়েছে তা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এছাড়াও শিক্ষকদের পদোন্নয়নের নীতিমালাগুলোরও সমালোচনা করেন তিনি।
শেকৃবি নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, এমন নীতিমালা তৈরির পেছনে আমলাদের হাত রয়েছে। তারাওতো কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তবে কেন তারা শিক্ষকদের পেছনে লেগেছেন?
নীতিমালা প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউজিসির এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এসব নিয়ম তৈরি করেছি। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এমনও তথ্য আছে, স্নাতকে মেধা তালিকায় ৫৪তম ও ৪৭তম হয়েও তিনি শিক্ষক হয়েছেন, যা কিছুতেই মানা যায় না। বিশেষ করে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত শিক্ষক নিয়োগে আমাদের নীতিমালা পালন করা উচিত।
অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষক নিয়োগে মেধাক্রম থেকে সাত শতাংশ শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালাটি করার কারণে অন্তত পেছনের সারি থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হবে। এ নীতিমালা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একজন সাবেক উপাচার্যের পরামর্শে করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
জেডএস