এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এ রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। তোফায়েল আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান।
গোলাম সরোয়ার পায়েল বলেন, গত বছরের ০২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে দু’জন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে যোগ্যতা চাওয়া হয় সিজিপিএ (কিউম্যুলেটিভ গ্রেড পয়েন্টস অ্যাভারেজ)-৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫।
পরে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৫ জনকে নিয়োগ দেয় দর্শন বিভাগ। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত দু’জনের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের সিজিপিএ ছিল ৩.১৯।
সিজিপিএ’র শর্ত পূরণ না করার পরও তোফায়েলকে নিয়োগ দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন শিক্ষক পদে আরেক আবেদনকারী এইচ এম মিরাজ সৌরভ। এ রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি নিয়োগের সব শর্ত পূরণ না করার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পায়েল আরও বলেন, চূড়ান্ত শুনানি শেষে তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন এ পদে নিয়োগ দিতে চাইলে নতুন নিয়োগ কমিটি গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর