এ আদেশের ফলে সিনেট সভা করতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য রোববার (৩০ জুলাই) দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল মতিন খসরু ও এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পরে মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে ২৯ জুলাইয়ের সিনেট সভা করতে বাধা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৪ জুলাই) রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ২০ (১) ধারা অনুসারে সিনেট গঠনে নির্দেশ দেন।
রুলে ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ২০ (১) ধারা অনুসারে সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা বিশেষ সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবু আহসান মোহাম্মদ সামসুল (আ আ ম স) আরেফিন সিদ্দিক, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সরকারের পক্ষে শিক্ষা সচিব।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল আলম খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকার এ কে এম আতিকুর রহমান ও ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া।
গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার সিনেটের বিশেষ সভার চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ২১ (২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করেছেন। বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ১১(১) ধারা অনুসারে চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করতে হবে। সভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি’।
রিট আবেদনকারীর দাবি, অনেক রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধির পদ শূন্য। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করেন তারা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম জানান, প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর