বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রহসনের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সদস্য মোহাম্মদ দিদার বলেন, প্রশাসনের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে আমরা অনশন ভেঙ্গেছিলাম। সেই সঙ্গে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৭ দিনের সময় দিয়েছিলাম, প্রশাসন আমাদের বিশ্বাসের
উপর বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শন করেছেন। মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। আমরা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে আর ঘুরতে
চাই না। ছাত্রসমাজ তীব্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করবে।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত টানা তিন দিন আমরণ অনশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করে নেয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭দিনের সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া মামলা প্রত্যাহার করার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই।
গত ২৭ মে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৫৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
আরআই