বাবা-মার সঙ্গে শাইরা রশিদ ঝিলিক
আমি শাইরা রশিদ ঝিলিক। এ বছর বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায়ও আমি জিপিএ-৫ পেয়েছিলাম। আমার এ সাফল্যের পেছনে কেবল আমার কঠোর পরিশ্রমই নয় বরং আমার মা-বাবা এবং শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা বিশেষভাবে কাজ করেছে। তবে আমার সব থেকে কাছের মানুষ, আমার নানী জিনিয়াস কিন্টার গার্টেনের সাবেক অধ্যক্ষ জাহানার বেগম ছিলেন সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণাদানকারী।
আমি যখন পরীক্ষার আগে আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতাম, তখন অনেকেই বলতো ১৫/১৬ ঘণ্টা পড়ালেখা করছে। কিন্তু আমার মনে হয় ঠিকমতো মনযোগ দিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা পড়লেই হয়ে যায়।
সবাই বলছে এবার নাকি এ প্লাস কম। আসলে সঠিকভাবে খাতা দেখায় যারা সত্যিকারের এ প্লাস পাওয়ার যোগ্য শুধু তারাই পেয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার এ পরিবর্তনে মেধার সঠিক মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আমার বাবা হারুন অর রশিদ বরিশালের একজন ব্যবসায়ী ও বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং আমার মা শিরিন আক্তার ঝরনা একজন শিক্ষিকা। মা-বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় তাদের সব স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব আমার। তাই আমার জীবনের লক্ষ্য এমন কিছু হওয়া যাতে আমার বাবা- মায়ের সব দায়িত্ব যেন আমি নিজেই নিতে পারি। ভবিষ্যতে বিসিএস ক্যাডার হতে চাই।
জীবনে চলার পথে কাছের বন্ধু আমাদের ভালো ফলাফল। এর মাধ্যমেই আমরা স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রুপদান করতে পারি। তাই সব শিক্ষার্থী বন্ধুদের কাছে আমার পরামর্শ থাকবে ঘুমিয়ে নয়, জেগে স্বপ্ন দেখো এবং স্বপ্নটাকে সত্যিতে বাস্তবায়ন করো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এমএস/আরআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।