শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্জনের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শনিবার (২৯ জুলাই) সিনেটের অধিবেশন আহ্বান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য সংখ্যা ১০৫ জন। কিন্তু বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৫৫ জন। বাকী ৫০টি পদ শূন্য রয়েছে। যেখানে ২৫ জন সদস্য রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট কর্তৃক নির্বাচিত হওয়ার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন ও গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক ৭৩ এর অধ্যাদেশ সংরক্ষণ ও সমুন্নত রাখার ব্যাপারটি আমাদের সবারই দায়িত্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। তাই সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত প্যানেল হতে উপাচার্য নিয়োগ লাভ করুক এটা আমাদের প্রত্যাশা। সিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্যপদ খালি রেখে বিশেষ করে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি পদ খালি রেখে একটি অসম্পূর্ণ সিনেটের মাধ্যমে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন কারো কাছেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
তিনি আরো বলেন, প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে অনির্বাচিত উপাচার্যের দ্বারা ঢাবি পরিচালিত হওয়ার পর যখন ২০১৩ সালে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা হয়। তখনও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিসহ অন্য ক্যাটাগরিতেও অনেক সদস্য পদ শূন্য ছিল। আর এর প্রতিবাদে আমরা উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের আহুত সিনেট অধিবেশন বর্জন করেছিলাম। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় সাদা দল এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ শনিবার (২৯ জুলাই) আহুত সিনেট অধিবেশন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে আগামীকাল সিনেট সভা স্থগিত করে অবিলম্বে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনসহ অন্য ক্যাটাগরির শূন্য পদ সমূহ পূরণের পর উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের আয়োজনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তিনি ডাকুস নির্বাচন না হওয়ায় ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধির পদ খালির বিষয়টি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শদ হাসান খান, সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ