আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সমঝোতা বৈঠক শেষে সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শামীম সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র সঙ্গে তার কার্যলয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে কাজের গুরুত্ব ও আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে অগ্রধিকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন ভিসি।
তিনি বলেন, দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রাখবে শিক্ষার্থীরা। নির্দিষ্ট বা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আবারও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে ৩০ জুলাই (রোববার) রাতে বরিশাল নগরের সার্কিট হাউজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা।
ওই বৈঠকেও সমঝোতা হলে আন্দোলনকারীরা ভিসির পদত্যাগ দাবি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখায় গত সপ্তাহের ২৩ জুলাই (রোববার) থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবারে ২২ দফা দাবি পেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যে দাবি মানা না হলে ভিসির অপসারণের দাবিও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এমএস/জিপি