এতে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০১৭-১৮ বছরের কার্যনির্বাহী কমিটির পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম এবং ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ফলাফল ঘোষণা করেন ড. মোহাম্মদ সৈয়দ আলম।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নীল দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে মোট ভোট ছিলো ৩৬৭টি। যেখানে ভোট পড়েছে ১৩৭টি। এতে সর্বাধিক ভোট ৫৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে ড. আইনুল এবং ৪৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাসির। নির্বাচনে অন্যান্যদের মধ্যে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৪১ ভোট পেয়েছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন।
এদিকে, গত ২৬ জুলাই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ্ এবং ড. আতিয়ার রহমানের পক্ষ থেকে ২০১৭-১৮ বছরের জন্য নীল দলের ১৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অরুন কুমার গোস্বামী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল-মাসুদ।
তাদের দাবি, নির্বাচন ছাড়াই সমোঝোতা করে কমিটি ঘোষণা করে তারা। কিন্তু অন্য পক্ষের শিক্ষকরা তাদের সমঝোতার ডাকে সাড়া দেননি। তাই তারা এই কমিটি ঘোষণা করেন। এছাড়া ২০১৭-১৮ বছরের জন্য গঠিত নির্বাচন আয়োজনকেও গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে জানান।
অপরদিকে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে দায়িত্ব বণ্টনের পক্ষে থাকা শিক্ষক নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির সময়ে সংগঠনের নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে উভয়পক্ষের স্বাক্ষর রয়েছে। এবং সেখানে বলা হয়েছে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। সেই অনুযায়ী তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সমঝোতার ভিত্তিতে তাদেরকে সভাপতিসহ মোট ছয়টি পদ দিতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের দিনে ভোট বিরোধিপক্ষ ইচ্ছে করে কোরাম সংকট সৃষ্টি করেছে। এরপর সেই সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দেড় মাস পর তারা সংগঠন থেকে বেরিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছে।
এ প্রসঙ্গে জবি নীল দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির এক্সিকিউটিভ সদস্য একেএম মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা বরাবর ছাড় দিয়ে এসেছি। আর ছাড় দেওয়ার পক্ষে নই আমরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনে নির্বাচন থাকবে না এটা তারা কিভাবে বলেন? বঙ্গবন্ধু কোনোদিন নির্বাচন ছাড়া কোনো পদ গ্রহণ করেননি। এখন থেকে প্রতিবার নির্বাচনের মাধ্যমে নীল দলের কমিটি গঠিত হবে। ’
এ বিষয়ে নীলদলের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলম বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আন-অফিসিয়লি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছি। অফিসিয়ালি কাল ফলাফল ঘোষণা করা হবে। একটি অংশ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম পড়েছে বলেও জানান তিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ডিআর/জিপি