এতে করে ওই মাদ্রাসার প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ক্লাসের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে মনিকগঞ্জ পৌরসভা স্বর্ণকারপট্টি এলাকার ওই মাদ্রাসায় পাঠদান পুরোপুরি বন্ধ দেখা যায়।
মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক পাঠদান বন্ধ থাকার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমান একজন ভূমি দস্যু। প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামি এবং মামলাগুলোও বিজ্ঞ আদালতে চলমান। মাদ্রাসার নির্মাণ, দোকানের জামানত, শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও দরিদ্র তহবিলসহ বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে টাকা আদায়ের দাবিতে আব্দুল কাদের ও মহিউদ্দিন হোসেন নামের দুই শিক্ষককেও হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ৬৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনিবার্য ধংস হতে চলেছে। এ ধংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে_ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে আবেদন জানান মাদ্রাসার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সভাপতি।
এ বিষয়ে বিষয়ে মাদ্রাসার প্রভাষক মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমান ওরফে ইশার আলীকে মাদ্রাসা থেকে অপসারণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা এই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানাচ্ছি। আর ওই বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকদিন ধরে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। আর আজকে (বৃহস্পতিবার) মাদ্রাসার ক্লাস পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে’।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহাদৎ খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ হবে।
তবে মানিকগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমান ওরফে ইশার আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোনকল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
জিপি