মূল প্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ‘শহীদুল্লাহ তরফদারের জবাব পেয়েছি। একাডেমিক কমিটির সভায় তা উপস্থাপন করা হবে’।
তবে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে শহীদুল্লাহ কি লিখেছেন তা দেখেননি বলে জানান অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম।
অভিভাবকদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ থাকলেও গণিতের ওই শিক্ষক বনশ্রীতে নিজ বাসায় রমরমা কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য করে আসছেন। গত ০৯ জুলাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির গণিতের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে এক সপ্তাহে আগে নেওয়া ওই শিক্ষকের কোচিংয়ের পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিল পাওয়া যায়।
বনশ্রী ও মুগদায় দু’টি শাখা ক্যাম্পাসসহ মতিঝিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ক্যাম্পাস। বনশ্রী শাখার সহকারী শিক্ষক শহীদুল্লাহকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিলেন মূল ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ।
অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহীদুল্লাহ তরফদারকে শো’কজ করা হয়েছিল জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, একাডেমিক কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুলাই দুই প্রশ্নের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে বাংলানিউজ। ওই সময় অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, ক্লাসের পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ৬০-৭০ শতাংশ মিল পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিভাবকেরা অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজের কাছে প্রাইভেট-কোচিং করা চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্রদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকেরা। তবে নিজ সন্তানদের একাডেমিক ক্ষতির আশঙ্কায় কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষকরা অভিভাবকের মতো। এখানে যে বিশ্বাসে অভিভাবকেরা সন্তানদের পাঠান, সে বিশ্বাস ভঙ্গ করলে চলবে না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর
** বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের গণিতের শিক্ষক শহীদুল্লাহকে শোকজ