শুক্রবার (০৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা। ওই শিক্ষিকা ও বিভাগীয় সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও করেন বিভাগের ওই ১১ শিক্ষক।
১১ শিক্ষকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্যাহ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুর রহমান, অধ্যাপক এসএম রাজী, অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমুখ।
অধ্যাপক এস এম একরাম উল্যাহ বলেন, ‘বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে রুখসানা পারভীনের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বিভিন্ন শিক্ষককে পুলিশের ভয় দেখান এবং তার উদ্দেশ্য হাসিলে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে যৌন হয়রানির অভিযোগের হুমকি দেন’।
রুখসানা পারভীন বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের নামে ‘আপত্তিকর ও মানহানিকর’ কথা ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন উল্লেখ করে সেসব কথার রেকর্ডিংও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভাগীয় সভাপতির করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন, ‘বিভাগের সভাপতি হিসেবে তিনি সকল শিক্ষকের অভিভাবক। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকরা অনাস্থা প্রকাশ করলে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে রুখসানাকে হাত করে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলান তিনি’।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসিমা জামানকে দ্রুত সভাপতির পদ থেকে অপসারণ ও রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে শাস্তির দাবি জানান ১১ শিক্ষক।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুখসানা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘তারা যেসব অভিযোগ এনেছেন তার যদি প্রমাণ থাকে দিক। তদন্ত কমিটি গঠিত হলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। যদি প্রশাসন থেকে কিছু না করা হয়, তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো’।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চলমান বিষয়ে দু’পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়নি। কথা হলে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে আমি সকল শিক্ষকের প্রতি অনুরোধ করবো, বিষয়টি নিয়ে যেন তারা আর কাদা ছোঁড়া-ছুড়ি না করেন’।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
টিএ/এএসআর